গাজী মো. তাহেরুল আলম: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ০৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জেরহাট মোহাম্মদিয়া নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার হিফয্ বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেলুনে পানি ঢুকানোকে কেন্দ্র করে ণিশু ছাত্র আশিকুর রহমান ছাইফ (১৩) আহত হয়েছে।
জানাযায়, ২৫ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ৮ টায় বিরতির সময় হিফয বিভাগের কতিপয় ছাত্র বেলুনে (পোটকা) পানি ঢুকানো খেলা নিয়ে এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় সহপাঠীদের ঘুষিতে আশিকুর রহমান ছাইফ মাথার পেছনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাৎখনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগন আহত ছাত্রটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান। পরে অভিভাবক ও মাদরাসা প্রধানসহ ভোলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীর দাদা মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ এ ঘটনার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে কতিয় শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করেন। তিনি জানান, আহত ছাইফ ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ প্রসংগে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ্ বলেন, আজ সকালে বিরতির সময় শিশু ছাত্র মাহিন, রাজিব, আবির,নাইম, ছাবিক, ফাহাদ, ছিফাত, ইসাত, রিফাত, আব্দুর রহমান ও ছাইফ পোটকায় পানি ঢুকানো খেলা নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে ছাইফ আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া হয়। এ ঘটনায় দায়ী শিক্ষার্থীদের অভিভাকগনকে ডেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাদরাসা কমিটি ও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার সময় “আমি” মাদরাসার দৈনন্দিন বাজার করার জন্য কুঞ্জেরহাটে ছিলাম।
মাদরাসার সভাপতি মামুন চৌধুরী জানান, মাদ্রাসার ছাত্ররা খেলাধুলা নিয়ে মারামারি করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ভোলা জেলার মধ্যে কুঞ্জেরহাট মোহাম্মদিয়া নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা একটি স্বনামধন্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে অভিভাবক মহলের বক্তব্য হলো: দ্বীপজেলা ভোলার প্রায ৪০ বছর দীর্ঘকালের স্বনামধন্য এ মাদরাসাটি দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। গরিব-এতিমসহ সকল শ্রেণিপেশার পরিবারের সন্তানেরা এখানে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করছে। শিক্ষার্থীদের শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলেও অভিভাবক মহল মনেকরছেন।